ফোন +৮৮০১৭১১২৬৭৫৩১
ইমেইল : [email protected]
বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের মানুষ অতি ক্ষুদ্র একটি ভাইরাসের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির নাম সার্স সিওভি-টু। সাধারণ লোকজন একে করোনাভাইরাস নামেই চেনে। এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কে বলা হচ্ছে COVID-19।
করোনা ভাইরাসের ব্যাস মাত্র ১২০ ন্যানোমিটার ভাইরাসটি এতোই ক্ষুদ্র যে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেই এদেরকে দেখা সম্ভব।
জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
জমি ক্রয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এই ছবিতে প্রায় 1 কোটি 20 লক্ষ গুণ বড় করে দেখানো হয়েছে অতি ক্ষুদ্র এই করোনাভাইরাস।
চলুন জেনে নেই মানবদেহে কিভাবে আক্রমণ করে এই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসঃ
ভাইরাস সাধারণত একাকী অবস্থায় অর্ধমৃত থাকে এগুলো শুধুমাত্র কোন জীবন্ত কোষে প্রবেশ করলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন উপায়ে ভাইরাস মানুষ অথবা প্রাণীর দেহে প্রবেশ করতে পারে। বহু ভাইরাস আছে যেগুলো পশুপাখির শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণত এক ধরনের প্রাণীর ভাইরাস অন্যকোন প্রাণীর শরীরে সংক্রমিত হয় না। কিন্তু কখনো কখনো ভাইরাস বিবর্তনের মাধ্যমে অন্য প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করার যোগ্যতা অর্জন করে।
ফ্লাট বা প্লট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
কোন একটি প্রাণীর শরীর থেকে ভাইরাস যখন অন্য প্রাণীর শরীরে আক্রমণ করতে সক্ষম হয় তখন তাকে বলে “স্পিল-ওভার ইনফেকশন”। প্রথমে করোনা ভাইরাসও স্পিল-ওভার ইনফেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। তবে ঠিক কোন প্রাণীর শরীর থেকে নভেল করোনাভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।
করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে একবার প্রবেশ করার পর ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। কোন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য কারো সংস্পর্শে আসে তখন হাঁচি-কাশি বা কথা বলার সময় ছিটে আসা জলকনা বা শ্লেষ্মা (ড্রপলেট) থেকে করোনার জীবাণু ছড়াতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা কোনো বস্তু থেকে অন্য কারও হাতে চলে যেতে পারে। হাতের সাথে লেগে থাকা চোখ নাক ও মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
ভাইরাস আমাদের দেহে প্রবেশ করার পরপরই শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে আমাদের ফুসফুসে।
পড়া মনে রাখার ১১ কি কার্যকরী কৌশল
দলিল কি? ,দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
ভাইরাস গুলো এদের দেহের বাইরে থাকা প্রোটিন এর কাটার সাহায্যে মানব কোষে প্রবেশ করে। অনেকটা চাবি দিয়ে তালা খোলার মতো তারা আমাদের কোষের ভেতরে ঢুকে যায়। এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে ভাইরাস এর ভেতরে থাকা RNA বা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড। এই RNA ভাইরাসের জেনেটিক কোড বহন করে যার ফলে ভাইরাস নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে মানুষের দেহে ক্ষতি করতে পারে। মানব কোষে ঢুকার পর ভাইরাসের আরএনএ কোষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
এই অবস্থায় আমাদের দেহের কোষগুলো ভাইরাসের কথা মতো কাজ করতে থাকে। তখন ভাইরাসের প্রথম কাজ হলো ক্রমাগত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। একটি কোষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ভাইসার উৎপন্ন হয়ে গেলে একপর্যায়ে সে কোষটি গলে যায় এবং অসংখ্য ভাইরাস অন্য কোষ গুলোকে আক্রমণ করে। এভাবে 1 থেকে 10 দিনের মধ্যে লক্ষ-কোটি ভাইরাস আমাদের ফুসফুসের দখল নিয়ে নেয়।
হোম কোয়ারেন্টিন কী, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কেন কোয়ারেন্টিন জরুরী ?
তখন এইসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করে আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদান গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ করে তোলাই ইমিউন সেল বা রোগ প্রতিরোধ এর প্রধান কাজ। যেহেতু করোনাভাইরাস ফুসফুসের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করে তাই বিপুল পরিমান রোগ প্রতিরোধী কোষ ফুসফুসে প্রবেশ করে কিন্তু তখন ভাইরাসগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধী কোষেও আক্রমণ করে আর তখনই ঘটে সবচেয়ে বড় বিপত্তি।
ভাইরাসের দ্বারা ইমিউন সেল আক্রান্ত হবার ফলে উপকারী এই কোষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ে তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুঝে উঠতে পারেনা কোনটি ক্ষতিকর কোষ আর কোনটি উপকারী এর ফলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম অসুস্থ কোষগুলোর পাশাপাশি বহু সুস্থ কোষ মেরে ফেলতে শুরু করে এক পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সকল অসুস্থ কোষ এবং ভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম হয় এবং এই পর্যায়ে সাধারণত বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠে।
প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের অবস্থায় যেহেতু আলাদা তাই ব্যক্তিভেদে সুস্থ হতে এক থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর কাশি এবং সামান্য শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস ঝুকিপূর্ন অথবা অত্যন্ত জটিল শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে সংকটাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের প্রচুর পরিমাণ কোষ নষ্ট হয়ে যায় তখন ফুসফুস আর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এর ফলে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট অনুভব করে।
রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ভেন্টিলেটরের সাহায্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরোদমে যুদ্ধ করার ফলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে একপর্যায়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক শক্তি ব্যয় করার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজেদের দেহেরই বেশি ক্ষতি করে এ ধরনের পরিস্থিতিতে রোগীর মারা যাবার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।এছাড়া ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে না পারার কারণে অনেক রোগীই তীব্র শ্বাসকষ্টে মারা যায়।
ব্যাংক জব প্রিপারেশনঃ কি পড়বেন এবং রেফারেন্স বই (প্রিলিমিনারি) বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
জীবনঘাতী করোনাভাইরাস কে পরাজিত করতে ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। গবেষকরা ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন এর মাধ্যমে ভাইরাসটির দুর্বলতা খুঁজে বের করা হচ্ছে। একাধিক গবেষণায় কিছু সফলতা ও পাওয়া গেছে এই জেনেটিক কোডের মাধ্যমে। গবেষণাগারে ভাইরাসের অনুরুপ প্রোটিন তৈরি করা হচ্ছে। সেসব প্রোটিনে করোনা ভাইরাসের দেহের সবকিছুই থাকে শুধুমাত্র সেই ক্ষতিকর RNA ছাড়া। এসব প্রোটিন করোনা ভাইরাসের প্রোটিন এর কাটার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুজনের শরীরে এমন ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়েছে এই ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসকে বাইরে থেকে সিল করে দেয় যার ফলে ভাইরাস আর নতুন করে কোন কোষের ভেতরে ঢুকে ক্ষতি করতে পারে না তবে রাতারাতি কোন রোগের পূর্নাঙ্গ ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব নয়। গবেষকরা বলছেন শতভাগ কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে আসতে কমপক্ষে আরো 12 থেকে 18 মাস সময় লাগবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর আগে এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদেরকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
জমি পরিমাপের সূত্রাবলিঃ সহজ এবং আধুনিকতম পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
কিছুক্ষণ পরপর 20 সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বারবার নিজেদের মুখমন্ডল স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আমরা নিজেরা যেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হই এবং আমাদের থেকে যেন নতুন কাছে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে অবশ্যই রোগ পরীক্ষা করানোর চেষ্টা করুন। কারণ করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী সনাক্ত করণের কোন বিকল্প নেই। মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য একাধিক পদ্ধতি রয়েছে তবে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতির নাম পিসিআর বা পলিমারেজ চেইন রি-অ্যাকশন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই মানুষ মারা যায় না। এটি সর্দি, কাশি বা নিউমোনিয়ার মতোই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৮০ থেকে ৮৫% মানুষ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যান। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাদের সিংহ ভাগই সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু যারা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগ যেমনঃ ডায়বেটিকস, উচ্চঃ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস খুবই ঝুকিপূর্ণ।
ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এই ভাইরাস এতো ভংকর। কারণ, এটি মারাত্মক মাত্রায় ছোয়াচে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাচি কাশির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে দিতে পারে এক পলকেই। ভেবে দেখুন, এমনও হতে পারে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হবার কারণে কিছুদিনে সুস্থ হয়ে গেলেন কিন্তু তাকে দিয়ে ছড়ানো অন্যজন মৃত্যু বরণ করতে পারেন । তাই এই ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতা একমাত্র হাতিয়ার। বারবার নিয়ম অনুযায়ী হাত ধুয়ে ফেলুন। হাচি কাশির শিষ্ঠাচার বজায় রাখুন। টিস্যু অথবা কনুইয়ে চেপে হাচি বা কাশি দিন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, সামাজক দূরত্ব বজায় রাখুন। সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।