ফোন +৮৮০১৭১১২৬৭৫৩১
ইমেইল : [email protected]
করোনা ভাইরাস এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে তৈরী করে ফেলেছে এক আতঙ্কের ছায়া। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে করোনার আধিপত্য। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। এটি এমন এক মহামারী ভাইরাস যা পুরো বিশ্বকে ফেলেছে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে। কোথা থেকে এল এই ভাইরাস, কী এর লক্ষণ, আর কি এর চিকিৎসা? কৌতুহল জাগতেই পারে আমাদের মনে। তাছাড়া করোনা থেকে বাঁচতে হলে এর সম্পর্কে জানার কোন বিকল্প নেই। চলুন জেনে আসি করোনার বৃত্তান্ত।
জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
১.চীনের উহানের তামপাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির নিচে ও কাছাকাছি।
২. ইরানে ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি।
৩. দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ১০ ডিগ্রির অনেক নিচে।
৪. ইতালিতে ১৫ ডিগ্রির নিচে।
অর্থাৎ মোটামুটি ১৫ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা আছে এমন ক্ষেত্রে করোনা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এ পর্যন্ত প্রায় সব গবেষণা ও বিশেষজ্ঞরা মোটামুটি একমত যে, তাপমাত্র ২১-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে করোনা ভাইরাস টিকতে পারে না। যেমনঃ
১. হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. প্রফেসর জন নিকোলস বলেছেন, সূর্যের আলো, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় করোনা টিকতে পারে না। সূর্যের আলো ভাইরাস অর্ধেক ক্ষমতা শেষ করে দেয়। বাকি অর্ধেক ২ থেকে ২০ মিনিট টিকে থাকে।
২. জার্মান সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল এন্ড ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন রিসার্স সেন্টারের গবেষক থমাস পিচম্যান বলেছেন, সূর্যের তাপে ভাইরাসটি টিকতে পারে না।
৩. জার্মানির জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনের প্রকাশিত রিসার্সে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ দিন বাঁচতে পারে। সর্বোচ্চ ২৫ ডি.সে. এ কয়েক দিনের বেশি বাঁচে না।
ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
জানেন কি, সম্প্রতি যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে সেটা নতুন হলেও এর ইতিহাসটা কিন্তু অনেক পুরানো। ভাইরাসের শ্রেনীবিন্যাস থেকে জানা যায় করোনা ভাইরাস হচ্ছে নিদুভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্গত করোনা ভাইরদা নামক পরিবারের একটি ভাইরাস। এটির উপগোত্র হচ্ছে করোনা ভাইরিনা। আর করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতিটির নাম হচ্ছে “২০১৯-নভেল করোনা ভাইরাস”।
নভেল করোনা ভাইরাস টি আমাদের কাছে করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। ল্যাটিন ‘corona’ (মুকুট) শব্দ থেকে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে একে দেখা যায় অনেকটা মুকুটের মত। আর একারণেই এর নাম রাখা হয়েছে ‘করোনা’। এখন পর্যন্ত মোট ৭ ধরনের করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে যা নতুন করে তাদের মধ্যে জীনগত পরিবর্তন করে মানুষকে আক্রান্ত করছে।
এটি মানুষের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে এবং সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এর সাথে সার্স এবং মার্স ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
২০০২ সালের সেই সার্স ভাইরাসে তখন প্রায় ৮’শ র মতো মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০১২ তে মার্সের প্রভাবে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। সার্স এবং মার্স ভাইরাস করোনা ভাইরাসেরই ভিন্ন প্রজাতি। নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমনে যে রোগ হয় তাকে বলা হয় কোভিড-১৯।
সর্বপ্রথম ১৯৬০ এর দশকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এটি জীনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশে উৎপত্তি হয় নভেল করোনা ভাইরাসের। গবেষকদের মতে এই ভাইরাস বহনকারী একটি মাংশাসী প্রাণীর দেহ থেকে তা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যা বর্তমানে পুরো পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে বিস্তার করেছে। এর পরিবারভুক্ত সকল ভাইরাসই ইতিহাসে মহামারী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল।
করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসের মাধ্যমে সংক্রমন ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। এর প্রভাবে অরগ্যান ফেইলর বা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের ছয় শতাংশ মারা গিয়েছে এবং দিনকে দিন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এই মৃত্যুর হার ।
ধারনা করা হয়, এমন মৃত্যুও ঘটেছে যা সনাক্ত করা সম্ভব হয়ে উঠে নি। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বব্যাপি এই ভাইরাসটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১০টি দেশে এটি তার আধিপত্য বিস্তার করেছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ছয় হাজার জনেরও বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
পড়া মনে রাখার ১১ কি কার্যকরী কৌশল
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অঙ্গ-প্রতঙ্গ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বা বিকল হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ফুসফুস, কিডনি, রক্ত, লিভার উল্লেখযোগ্য।
ফ্লুর মতো করোনা ভাইরাসও শ্বাসযন্ত্রের রোগ হওয়াতে এটি সবার প্রথমে ফুসেফুসেই আক্রমন করে। সাধারনত হাঁচি, কাশির মাধ্যমে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কণা অন্য কারো দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকেও আক্রান্ত করে ফেলে এবং পরবর্তিতে জ্বর, কাশির মাধ্যমে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। হঠাৎ করে কোন এক সময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা ভয়াবহ রকমের খারাপ হয়ে যায়।
হাইপারেক্টিভ ইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারনে নভেল করোনা ভাইরাস শরীরের অন্যান্য সিস্টেমেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত ৯২ শতাংশ রোগীর ফুসফুসের বাইরে কমপক্ষে একটি হলেও করোনা ভাইরাস প্রকাশিত হয়েছিল। সাইটোকাইনিন প্রোটিন ইমিউন সিস্টেম বিপদ আশঙ্কা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং আমাদের শরীর সংক্রমণের জায়গায় প্রতিরোধক কোষকে নিয়োগ করে।
শরীরের বাকী অংশগুলি সংরক্ষণ করার জন্য প্রতিরোধক কোষগুলি তখন আক্রান্ত টিস্যুগুলোকে হত্যা করে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কোন নিয়ম ছাড়াই ফুসফুসে সাইটোকাইনিন ঢেলে দেয়। ফলে আক্রান্ত কোষের সাথে সুস্থ কোষগুলোও অবাধে ধ্বংস হতে থাকে।
ব্যাপারটি এরকম যে বন্দুক দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি করার পরিবর্তে আপনি যেন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছেন। যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন আপনার দেহ কেবল সংক্রমিত কোষগুলোকে লক্ষ্য করে না বরং স্বাস্থ্যকর টিস্যুতেও আক্রমণ করে। এর ফলে রক্তনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যখন একটি শক্তিশালী করোনা ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেম থেকে ছড়িয়ে পড়ে তখন আপনার লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চিকিৎসকরা সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯ এর প্রভাবে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছেন।
একবার ভাইরাসটি আপনার রক্ত প্রবাহে এলে এটি আপনার শরীরের যে কোন অংশে পৌঁছে যেতে পারে। ফলে ভাইরাসটি খুব সহজেই আপনার লিভারে প্রবেশ করতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতিসাধন হতে পারে।
শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য লিভার বেশ কঠোর পরিশ্রম করে। এর প্রধান কাজ বিষাক্ত পদার্থগুলো ছাঁকা এবং শরীরের জন্য ব্যবহারযোগ্য পুষ্টি উপাদান তৈরি করা। এটি পিত্ত তৈরি করে যা আপনার ক্ষুদ্রান্ত্রের মেদকে ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে। এছাড়া লিভারে এনজাইম রয়েছে যা শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে গতিশীল করে।
আপনার রক্তে যদি অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রায় এনজাইম থাকে তাহলে এটি মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে লিভারে আঘাত হতে পারে বা লিভারের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আমাদের কিডনিও মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। কারন, অনেকেই হয়ত জানেন না যে সার্স রোগীদের ছয় শতাংশ এবং মার্স রোগীদের এক চতুর্থাংশ মারাত্মক কিডনির সমস্যায় পড়েছিলো।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ দেখে শনাক্ত করা যেতে পারে। লক্ষন গুলো হচ্ছে জ্বর, অবসাদ, পেশীতে ব্যাথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসনালীর রোগ (যেমন- ক্লোমনালীর প্রদাহ তথা ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া) ইত্যাদি। এছাড়া মাথাব্যথা বা কফসহ কাশি হতে পারে।
যদি এই বিষয়গুলি মনে রাখেন তাহলে আপনার আশেপাশে কেউ করোনাতে আক্রান্ত হলে খুব সহজেই তাকে শনাক্ত করতে পারবেন। রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ভাইরাসের কারণে তাদের শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। এছাড়া যকৃৎ ও বৃক্কের (কিডনি) ক্ষতি হয়। সাধারণত এক সপ্তাহের আগ পর্যন্ত উপসর্গগুলি ডাক্তার দেখানোর মত জটিল রূপ ধারণ করে না।
কিন্তু ২য় সপ্তাহে এসে ব্যক্তিভেদে অবস্থার দ্রুত ও গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে। যেমন ফুসফুসের ক্ষতিবৃদ্ধির সাথে সাথে ধমনীর রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা (হাইপক্সেমিয়া) দেখা দেয় এবং রোগীকে অক্সিজেন চিকিৎসা দিতে হয়। এছাড়া তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি পরিলক্ষিত হয়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীকে ICU তে রেখে যান্ত্রিকভাবে শ্বাসগ্রহণ করাতে হয়। কখনও কখনও কৃত্রিম ফুসফুসের ভেতরে রক্ত পরিচালনার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন যোগ করতে হয়।
চীনের উহান প্রদেশ থেকে আবিষ্কৃত হওয়া এই করোনা ভাইরাসটির আকার অপেক্ষাকৃত বড় আকারের। এর আকার প্রায় ১২৫ ন্যানোমিটার (অর্থাৎ ১ মিটারের প্রায় ১ কোটি ভাগের এক ভাগ)। আকারে বড় বলে এটি বাতাসে কয়েক ঘণ্টার বেশি ভেসে থাকতে পারে না এবং কয়েক ফুটের বেশী দূরত্বে গমন করতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এটিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ায়।
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের সময় মুখের হাঁচি, কাশি, লালা বা থুতু থেকে সরাসরি ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে সংক্রামিত হতে পারে। অন্যদিকে জনসমাগম স্থানে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে এবং কোন সুস্থ ব্যক্তিকে ভাইরাস যুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ওই সুস্থ ব্যক্তিও সংক্রমিত হয়ে যায়।
এভাবে এই ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে সংক্রমিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুত বহু মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বুঝতেই পারছেন কিভাবে এত মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস!
যেহেতু এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য কোন প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি সেহেতু চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলেছেন এবং সেই সাথে বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস থেকে বাচার জন্য কিছু প্রাথমিক ধাপ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এইগুলা মেনে চললে আমরা অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারি। ধাপ গুলো হচ্ছেঃ
ক) মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
খ) বারবার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে।
গ) হাত, নাক-মুখে বারবার নেয়া যাবে না বা ঘষাঘষি করা যাবে না।
ঘ) সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
ঙ) জনাকীর্ণ এলাকা এরিয়ে চলতে হবে।
চ) আক্রান্ত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলতে হবে।
ছ) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
জ) জ্বর বা কাশি বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
চীনসহ পুরোবিশ্বের প্রায় ১১০টি দেশে করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং এ তালিকায় বাংলাদেশও কিন্তু বাদ নেই। গত কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩জনের সন্ধান মিলেছে। যেহেতু এর কোন প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি তাই সবাইকে উপরোক্ত পরামর্শগুলো মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
যদিও এই ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করেছে, তবু করোনা নিয়ে আসলে ভয়ের কিছু নাই। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এই ভাইরাসের ফলে মৃত্যুবরণের সংখ্যা কিন্তু তূলনামূলক কম। একটু সচেতনতাই পারে করোনা থেকে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
ব্যাংক জব প্রিপারেশনঃ কি পড়বেন এবং রেফারেন্স বই (প্রিলিমিনারি) বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।