ফোন +৮৮০১৭১১২৬৭৫৩১
ইমেইল : [email protected]
দলিল হচ্ছে জমি জমার প্রাণ। তাই যিনি জমি কিনছেন দলিলটি তার নিকট বোধগম্য হতে হবে। দলিলে কোন ভুল থেকে গেলে তার দায় বহন করতে হয় জমি ক্রেতাকে। তাই যার হাতের লেখা সুন্দর তাকে দিয়ে বা কম্পিউটারে টাইপ করে দলিল লেখা উচিত। জমির ক্রেতা ও নবীন দলিল লেখকদের দলিল লেখার সুবিধার্থে নিম্ন একটি আধুনিক দলিলের মডেল তুলে ধরা হলো। মডেল দলিলে দলিলের কোন অংশ যাতে বাদ না পড়ে সেজন্য দলিলকে ৯টি অংশে ভাগ করে ৯টি শিরোনাম দিয়ে লেখা হয়েছে। বাস্তবে দলিল লেখার সময় এ শিরোনামগুলো ব্যবহার করা যেতেও পারে, ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে ৯টি অংশের কোনটিও যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
দলিল বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে । নিম্নে বিভিন্ন প্রকার দলিলের বর্ণনা দেওয়া হলঃ
কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রি করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে দেন তাকে ‘সাফকবলা’, ‘বিক্রয় কবলা’ বা ‘খরিদা কবলা’ বলা হয়। এ কবলা নির্ধারিত দলিল স্ট্যাম্পে লেখার পর দলিলদাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সই করে গ্রহীতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিস্ট্রি করে দেবেন। এ দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফসিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রীত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিলদাতা থেকে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহীতা অর্থাৎ খরিদ্দারের ওপর অর্পিত হয়।
রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা।
দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)।
স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ২৩ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং ১১৬২১০২ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৩১১)।
জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
যে কোনো সম্প্রদায়ের যে কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এ দানপত্র দলিলে শর্তবিহীনভাবে সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। স্বত্ব সম্পর্কে দাতার কোনো প্রকার দাবি থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য দানপত্র দলিল। এ দলিল কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়, কেবল সন্তুষ্ট হয়ে এ রকম দান করা হয়। কিন্তু এ হেবা শর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, কট রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সব ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে। স্বত্ব সম্পর্কে দাতার কোনোরকম দাবি থাকলে সে দান বা হেবা শুদ্ধ হবে না এবং তা যে কোনো সময় বাতিলযোগ্য। এ রকম দানপত্রে দাতার কোনো স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।
হেবা বিল এওয়াজও মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এবং এ দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয়। কিন্তু এটি কোনো কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, যেমন_ পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ, তসবিহ, মোহরানার টাকা, এমনকি যে কোনো জিনিসের বিনিময়েও হতে পারে, যেমন আংটি ইত্যাদি। এ হেবা বিল এওয়াজ দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহীতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল প্রকার ক্ষমতার অধিকারী হবেন এবং দাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহীতার কাছে অর্পিত হবে।
দাতার স্বার্থে কোনো প্রকার স্বত্ব দাতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এ হেবা বিল এওয়াজ অবশ্যই রেজিস্ট্রিকৃত হতে হবে। হেবা বিল এওয়াজ যদি টাকার বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশিসূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা বিল এওয়াজমূলে দান করে থাকে তাহলে শরিক কর্তৃক জানার তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে প্রিয়েমশান বা অগ্রক্রয় করতে পারে।
১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা।
দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)।
২। স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।
দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং ১১৬২১০২ তে জমা করতে হবে।
৩। স্থানীয় সরকার করঃ সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।
স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।
জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
৪। অন্যান্য ফিসসমূহঃ
ক) ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
খ) ই ফিঃ- ১০০ টাকা।
গ) এন ফিঃ-
(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।
(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
ঘ) এনএন ফি (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) –
(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
ঙ) সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি।
মন্তব্যঃ-
১। এন ফি ও ই ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে।
২। এনএন ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে।
বিঃদ্রঃ দানপত্র দলিলের ক্ষেত্রে নিবন্ধনকৃত ধর্মীয়, দাতব্য, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্টানের অনূকুলে যে কোন দানের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কর প্রযোজ্য নয়।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ
জমি পরিমাপের সূত্রাবলিঃ সহজ এবং আধুনিকতম পদ্ধতি
উদাহরণ- ০১
ধরা যাক, ভেড়ামারা বাহিরচর মৌজায় ১০ শতক জমি দান/হেবাবিল এওয়াজ করা হবে যার মূল্য ৩০০০০০ টাকা।
উক্ত জমি রেজিস্ট্রি খরচ হবে নিম্নরূপঃ
১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ৩০০০০০ এর ২% = ৬০০০ টাকা।
২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ৯০০০০ টাকা।
৩। স্থানীয় সরকার করঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ৯০০০০ টাকা।
৪। ক) হলফনামা স্ট্যাম্পঃ ২০০ টাকা। খ) ই ফিঃ ১০০ টাকা। গ) এন ফিঃ ১৬০ টাকা। ঘ) এনএন ফিঃ ২৪০ টাকা। ঙ) কোর্ট ফিঃ ১০ টাকা।
উদাহরণ- ০২
ধরা যাক, ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা মৌজায় ১০ শতক জমি দান/হেবাবিল এওয়াজ করা হবে যার মূল্য ৯০০০০০ টাকা।
উক্ত জমি রেজিস্ট্রি খরচ হবে নিম্নরূপঃ
১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ৯০০০০০ এর ২% = ১৮০০০ টাকা।
২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ২৭০০০০ টাকা।
৩। স্থানীয় সরকার করঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ২৭০০০০ টাকা।
৪। ক) হলফনামা স্ট্যাম্পঃ ২০০ টাকা। খ) ই ফিঃ ১০০ টাকা। গ) এন ফিঃ ১৬০ টাকা। ঘ) এনএন ফিঃ ২৪০ টাকা। ঙ) কোর্ট ফিঃ ১০ টাকা।
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সহিত তাহাদের লপ্ত ও সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর এওয়াজ পরিবর্তন সরতে পারেন। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলো: ক এর জমি খ এর বাড়ীর নিকট এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর নিকট। উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত। কাজেই ক তার জমি খ কে এবং তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল। একেই এওয়াজ পরিবর্তন দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।
শরিকরা নিজ নিজ ছাহামপ্রাপ্ত হয়ে ওই ছাহামের বাবদ যে দলিল করে থাকে, তাকে বণ্টননামা দলিল বলে। একই সম্পত্তিতে মালিক হয়েছেন এ রকম একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের। যথা_ উত্তরাধিকারসূত্রে শরিক ও কোনো শরিক থেকে খরিদসূত্রে শরিক। ইংরেজিতে বলা হয় কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিট্যান্স অ্যান্ড কো-শেয়ারার বাই পারচেজ।
বণ্টননামা দলিল করার সময় সব শরিক দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে ও দস্তখত করে বণ্টননামা দলিল করতে হবে। কোনো একজন শরিক বাদ থাকলে বণ্টননামা শুদ্ধ হবে না। বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বণ্টন করে সব পক্ষ যদি বণ্টননামা দলিলে দস্তখত করে থাকেন তাহলেও বণ্টননামা কার্যকর হতে পারে। যদি শরিকরা আপসমতে বণ্টন করতে রাজি না হন তাহলে যে কোনো শরিক বণ্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।
কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তি কাউকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অসিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সবাইকে না দিয়ে যদি একজনকে বা কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অসিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তার উত্তরাধিকারীরা দাবি উত্থাপন করেন তাহলে যাকে সম্পত্তি অসিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পাবেন এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সবাইই হবেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবদ্দশায় একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল সেটাই কার্যকর হবে।
কোনো ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোনো সম্পত্তিতে তার স্বত্বাধিকার নেই মর্মে অথবা স্বত্বাধিকার ত্যাগ করেছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেন। এ রকম দলিলকে না-দাবি দলিল বলা হয়।
প্রজাদের ভূমি-রাজস্ব বকেয়া পড়লে উপরস্থ মালিকরা আদালতে খাজনার নালিশ করে ডিক্রি করতেন। প্রজা ওই ডিক্রিকৃত টাকা জমিদারকে প্রদান না করলে ওই খাজনার ডিক্রি জারি দিয়ে ওই ভূমি নিলাম করা হতো। ওই নিলাম উপরস্থ মালিকসহ সর্বসাধারণের খরিদ করার অধিকার ছিল। যে ব্যক্তি বেশি টাকায় নিলামের ডাক ওঠাতেন তিনি ওই নিলামের খরিদ্দার বলে গণ্য হতেন।
খাজনার ডিক্রি ছাড়া আরো কয়েক প্রকারের নিলাম হয়ে থাকে। যেমন_ সরকার কর্তৃক ভূমির বকেয়া রাজস্ব উত্তোলনের জন্য কিংবা দেওয়ানি মোকদ্দমার খরচের টাকা আদায়ের জন্য ও রেহানি ঋণের কারণে। যিনি নিলাম খরিদ করতেন তাকে একটি নিদর্শনপত্র বা সার্টিফিকেট দেয়া হতো, তাকে বয়নামা বলা হয়।
বণ্টনের মোকদ্দমা, স্বত্ব সাব্যস্তপূর্বক খাস দখল, উৎপাত ও অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) ইত্যাদি মোকদ্দমায় ডিক্রির পর আদালত থেকে বণ্টনের মোকদ্দমায় কমিশনার ও অন্যান্য মোকদ্দমায় আদালতের পদাতিক বা নায়েব, নাজির যোগে ডিক্রির মর্মমতে দখলি পরোয়ানার ভিত্তিতে দখল গ্রহণ করতে হয় এবং দখল দেয়ার পর কমিশনার ও আদালতের পদাতিক বা নায়েব নাজির রিপোর্টসহ ওই দখলি পরোয়ানা আদালতে দাখিল করেন। তাকে দখলনামা দলিল বলা হয়।
জমি ক্রয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
কোনো সম্পত্তি টাকা-পয়সা কিংবা অন্যান্য যে কোনো কারণে আদালতে নালিশ হলে বাদীর আরজি, বিবাদীর জবাবদৃষ্টে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে একতরফা বা দোতরফা শুনানির পর হাকিম বিচার করে ওই বিচার লিখিতভাবে জানিয়ে দেন। তাকে রায় দলিল বলা হয়।
রায়ের মর্মমতে রায়ের আদেশাংশ সংযোজন করে বাদী ও বিবাদী পক্ষের নাম-ঠিকানাসহ সম্পত্তিসংক্রান্ত হলে সম্পত্তির তফসিল পরিচয়সহ একটি দলিল আদালত কর্তৃক জারি করা হয়। একে ডিক্রি বলে।
বাদী বিরোধীয় ভূমির জন্য বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আদালতে যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তাকে আরজি বলা হয়। এই আরজিতে বাদী তার স্বত্ব সম্বন্ধে যাবতীয় বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং প্রতিকার প্রার্থনা করেন। কোন কোন দরখাস্ত আরজি গণ্যে বিচার হয় যেমন প্রিয়েমশান অভিভাবক নিযুক্তির দরখাস্ত উত্তরাধিকার নিদর্শনপত্র, প্রবেট ইত্যাদি।
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি বিক্রয় করবোর জন্য কারোও নিকট হতে বায়না বাবদ টাকা গ্রহণ করে বায়নাপত্র সম্পাদন করে দিয়ে যদি দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে না দেয় তাহলে যে ব্যক্তি বায়না দিয়েছেন তিনি আদালতযোগে নালিশ করে আদালত কর্তৃক দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করিয়ে নিতে পারেন।
আদালতের বিচারে দলিল সম্পাদনের মোকদ্দমা ডিক্রি হলে উক্ত ডিক্রি ঐ আদালতে জারী দিয়ে দলিলের মুসাবিদা ও ষ্ট্যাম্প আদালতে দাখিল করলে তম্মর্মে দলিললিপি করে আদালত দাতার পক্ষে দস্তখত করে দলিল রেজিষ্টারী করে দিবেন।
কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যে চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয় তাকে বায়নাপত্র বলে। বর্তমানে বায়না দলিল রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
বায়না পত্রের মাদ্যমেও স্বত্ব হস্তান্তরিত হতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি বায়নাপত্র মারফত জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন এবং মূল্যের টাকা গ্রহণ করে থাকেন এবং বিশেষ কারণে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন নাই বা দিতে পারেন নাই।
যেহেতু দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং গ্রহীতা দখল বুঝিয়ে নিয়ে ভোগ দখল করছেন সেহেতু সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৩ ধারা মতে আংশিক বিক্রয় কার্যকরী হয়েছে। অতএব জমিতে খরিদ্দারের স্বত্ব হয়েছে বলে গণ্য হবে।
কোন ব্যক্তি বিশেষ কোন কারণে তার নিজের নামে সম্পত্তি খরিদ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া বিবেচিত হলে ঐ ব্যক্তি নিজ অর্থে ও স্বার্থে সম্পত্তি খরিদ করে তার দলিল নিজের নামে না করে তার যে কোন আত্মীয়ের বা বিশ্বাসী বন্ধু বান্ধবের নামে বেনামী দলিল করতে পারেন বা নিজের সম্পত্তি ঋণের দায়ে বা অন্য কোন কারণে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ঐ ব্যক্তি তার নিজের সম্পত্তি কোন আত্মীয় স্বজনেবা বন্ধু বান্ধবের নামে দলিল করে দিতে পারেন। সেই দলিল অবশ্যই সাফকবালা ক্ষেত্র বিশেষে দানপত্র দলিল হবে।
আরও পডুনঃ জমি পরিমাপের সূত্রাবলিঃ সহজ এবং আধুনিকতম পদ্ধতি
একটি আধুনিক দলিলের নমুনা:
বায়না নামা দলিল
জেলা-ঢাকা, থানা-পল্লবী অধীন, মৌজা-“দুয়ারীপাড়া” স্থিত, সাফ বিক্রয়ের বায়না নামা দলিল মোট মং-৬৫,০০,০০০/- (পঁয়ষট্টি লক্ষ) টাকা, বায়না বাবদ অগ্রীম মং-২,০০,০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা মাত্র, বায়না কৃত সম্পত্তি-০৮২৫ অযুতাংশ বা /৫ (পাঁচ) কাঠা ভূমির উপর নির্মিত ৭ (সাত) তলা বিশিষ্ট ইমারতের ৭ম তলার দক্ষিন পার্শ্বের ১৪৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট এবং মোট ভূমির কাতে অবিভক্ত ও অচিহ্নিত ০০৫৮.৯২ (আটান্ন দশমিক নয় দুই) অযুতাংশ ভূমি ও যাবতীয় হকহকুক সহ বায়নাকৃত বটে। বায়নার মেয়াদ-২ (দুই) মাস।
১। আব্দুল মান্নান, বয়স/জন্ম তারিখ-০১/০১/১৯৬২ ইং, জাতীয় পরিচিতি নম্বরঃ-২৬৯৩০১৬০৮৩৭০৪, ২। রেবেকা সুলতানা, জন্মতারিখ-২১/১১/১৯৭২ ইং, জাতীয় পরিচিতি নম্বরঃ-২৬৯৩০১৬০৮৩৬৮৮, স্বামী-আব্দুল মান্নান, উভয়ের সাকিন————————— জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম, পেশা-চাকুরী ও গৃহিনী।
***** বায়না নামা দলিল গ্রহিতা ও গ্রহিত্রী।
১। মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, বয়স/জন্ম তারিখ-২৮/০৮/১৯৭১ ইং, পিতা-মরহুম মেহের আলী বিশ্বাস, মাতা-মরহুমা হামিদা খাতুন, ঠিকানা-গ্রাম ও ডাকঘর-আনন্দবাস, থানা-মুজীব নগর, জেলা-মেহেরপুর, ২। মোঃ নজরুল ইসলাম, জন্মতারিখ-০৩/০৮/১৯৬০ ইং, পিতা-মরহুম নূর মোহাম্মদ বিশ্বাস, মাতা-ছপুরা খাতুন, ঠিকানাঃ-গ্রাম-মুন্সীপুর, ডাকঘর-পিরপুর কুল্লা, থানা-মামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা। ৩। মোঃ শাহজাদা হোসেন, জন্মতারিখ-২৬/০৭/১৯৮২ ইং, পিতা-মোঃ আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দার, মাতা-মোসাম্মৎ আশরাফী আখতার, ঠিকানাঃ-গ্রাম-হাজীপুর, থানা ও জেলা-মাগুরা, ৪। মোঃ মাইনুল ইসলাম, জন্মতারিখ-২৯/১১/১৯৮২ ইং, পিতা-মরহুম মুন্সী গোলাম ইউসুফ, মাতা-মরহুমা আনোয়ারা বেগম, ঠিকানা-গ্রাম ও ডাকঘর-হাজীপুর, থানা ও জেলা-মাগুরা, ৫। নাছির মিয়া, বয়স-৪০ বৎসর, পিতা-মান্নান মিয়া, মাতা-জরিনা বেগম, ঠিকানাঃ-গ্রাম-আলেপুর, ডাকঘর-উমেদপুর, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর, ৬। মোঃ মাহ্তাব উদ্দিন সরকার, জন্মতারিখ-০১/০১/১৯৬৩ ইং, পিতা-মোঃ ময়েন উদ্দিন সরকার, মাতা-মতি বেগম, ঠিকানাঃ-গ্রাম-দোগাছি, ডাকঘর-লক্ষী চামারী, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর, ৭। মোঃ মুসা আল গনী, জন্মতারিখ-৩১/১২/১৯৫৮ ইং, পিতা-মরহুম আব্দুল গনী আকন্দ, মাতা-জমিলা খাতুন, ঠিকানাঃ-গ্রাম-কাজীপুরা, ডাকঘর-পেছর পাড়া, থানা-কামার খন্দ, জেলা-সিরাগঞ্জ, ৮। মোঃ আবু হানিফ, জন্মতারিখ-১৫/০১/১৯৬০ ইং, পিতা-মৃত সাইজ উদ্দিন, মাতা-মৃত মরিয়ম বেগম, ঠিকানা-গ্রাম-জাঙ্গালীয়া, ডাকগর-নয়নাবাদ, থানা-আড়াই হাজার, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ৯। মোঃ আবুল বাশার, জন্মতারিখ-১৮/০১/১৯৫২ ইং, পিতা-মরহুম আব্দু রাজ্জাক, মাতা-মরহুমা হাজেরা খাতুন, ঠিকানাঃ-১৬৫/এ, পশ্চিম আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ১০। মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জন্মতারিখ-০১/০৩/১৯৬২ ইং, পিতা-মুহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, মাতা-মনোয়ারা খাতুন, স্থায়ী ঠিকানাঃ-গ্রাম-ধানাইদহ, ডাকঘর-পাঁচবাড়ীয়া, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর, বর্তমান ঠিকানাঃ-৯/২, রূপনগর আ/এ, থানা-পল্লবী, জেলা-ঢাকা। জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম, পেশা-চাকুরী ও ব্যবসা।
***** বায়না নামা দলিল দাতাগণ।
পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বায়না নামা দলিলের বয়ান আরম্ভ করিলাম, যেহেতু নিম্ন তফসলি বর্ণিত সম্পত্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী প্রকৌশলী, হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট, মিরপুর বিভাগ, সেগুনবাগিচা ঢাকা এর সহিত বিগত ২২/০৩/১৯৮০ ইং তারিখে রেজিস্ট্রীকৃত ১১১৭৫ নং একখন্ড এওয়াজ বদল দলিল বলে ইষ্টার্ণ হাউজিং কোম্পানী লিঃ নিম্ন তফলি বর্নিত সম্পত্তি এওয়াজ সূত্রে মালিক বিদ্যমান হইয়া তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে কোম্পানী কর্তৃক সৃজিত নক্সা অনুযাযী বিভিন্ন সাইজের প্লট তৈরী করিয়া বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে তৎপর তাহার নিকট হইতে এ. বি. এম হাফিজুর রহমান বিগত ইংরেজী ১৩/০৫/১৯৮২১৪/০৫/১৯৮২ তারিখে তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রীকৃত ৩৪৩৬ নং সাফ কবলা দলিল মুলে উক্ত ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ এর নিকট হইতে খরিদ করিয়া খরিদা সূত্রে স্বত্ববান মালিক নিয়ত হইয়া উক্ত এ. বি. এম হাফিজুর রহমান এর নামে নামজারী ও জমাভাগ করাইয়া ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বিগত ইংরেজী ২০/০৯/২০০৮ সন তারিখে মিরপুর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রীকৃত ৯৩২০ নং সাফ কবলা দলিল দ্বারা আমরা অত্র দলিল দাতাগণের বরাবরে সাফ বিক্রয় করিয়া বিক্রীত সম্পত্তি হইতে উক্ত এ. বি. এম হাফিজুর রহমান চিরতরে নিঃস্বত্ববান ও দখলত্যাগী হন।
অতঃপর আমরা অত্র দলিল দাতাগণ উল্লেখিত সাফ কবলা দলিল মুলে যৌথভাবে খরিদ করিয়া খরিদা সূত্রে স্বত্ববান মালিক নিয়ত হইয়া বিগত ইংরেজী-২৪/১১/২০০৮ তারিখে নামজারী ও জমাভাগ মোকদদমা নং-২৮৫৪/২০০৮-০৯ এর বলে ৩২২ নং জোতে সরকারের ধার্য্যকৃত বার্ষিক খাজনাদি পরিশোধক্রমে নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমির উপর রাজউক অনুমোদিত নকশা মোতাবেক ০৭ (সাত) তলা বিশিষ্ট ইমারত নির্মান করিয়া উহাতে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সংযোগ দিয়া এযাবৎকাল অন্যের বিনা ওজর আপত্তিতে ও নির্বিবাদে পরম সুখে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি।
বর্তমান সময়ে আমরা অত্র দলিল দাতার সাংসারিক ও অন্যান্য প্রযোজনে নগদ টাকার একান্ত আবশ্যক হওয়ায় নিম্ন তফসিল বর্ণিত জমি বিক্রয় করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষনা করিলে পর আপনারা অত্র দলিল গ্রহিতা ও গ্রহিত্রী উক্ত সংবাদ অবগত হইয়া নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি খরিদ করিতে ইচ্ছুক হইয়া মোট মূল্য মং-৬৫,০০,০০০/- (পঁয়ষট্টি লক্ষ) টাকা মাত্র ধার্য্য করিলে পর সেমতে আমরা অত্র দলিল দাতাগণ বর্তমান বাজার দর যাচাই পূর্বক আপনাদের ধার্য্যকৃত মূল্যই বর্তমান বাজারের সর্বোচ্চ মূল্য বিবেচনা করিয়া অদ্য রোজ হাজিরান মজলিশের স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় বায়না বাবদ মং-২,০০,০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা আপনারা অত্র দলিল গ্রহিতা ও গ্রহিত্রীর নিকট হইতে নগদ হাতে হাতে বুঝিয়া পাইয়া নিয়া স্বীকার ও অঙ্গীকার করিতেছি যে, অদ্য তারিখ হইতে ০২ (দুই) মাস বায়না বাদে বাকী-৬৩,০০,০০০/= (তেষট্টি লক্ষ) টাকা বুঝিয়া নিয়া আপনারা অত্র দলিল গ্রহিতা ও গ্রহিত্রীর বরাবরে মূল সাফ কবলা দলিল স¤পাদন ও রেজিষ্ট্রি করিয়া দিতে ওয়ারিশানগনক্রমে বাধ্য রহিলাম। যদি না দেই বা টাল বাহানা করিয়া উক্ত মেয়াদ অতিক্রম করার চেষ্টা করি তাহা হইলে আপনারা অত্র দলিল গ্রহিতা ও গ্রহিত্রী বাকী টাকা উপযুক্ত আদালতে জমা দিয়া অত্র বায়না নামা দলিল আদালতে দাখিল করতঃ আমার অনুপস্থিতিতে আদালত কর্র্তৃক মূল সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া নিতে পারিবেন। তাহাতে আমরা অত্র দলিল দাতাগণ ও আমাদের অলি ওয়ারিশনগন ক্রমে কাহারো কোন প্রকার ওজর আপত্তি নাই বা রহিল না। যদি আমরা অত্র দলিল দাতাগণ বা আমাদের অলি ওয়ারিশগনক্রমে কেহ কোন প্রকার ওজর আপত্তি করে তাহা হইলে সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য বা বাতিল বলিয়া গন্য হইবে।
প্রকাশ থাকে যে, নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমরা অত্র দলিল দাতাগণ ইতিপূর্বে অন্য কোথাও কাহারো নিকট বা কোন প্রতিষ্ঠানের সহিত কোন বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হই নাই বা বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়া কোন টাকা পয়সা গ্রহন করি নাই। সম্পূর্ণ নির্দায়, নিস্কন্টক ও দায়মুক্ত আবস্থায় নিম্ন তফসিল বর্ণিত স¤পত্তি আপনাদের সাথে বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হইলাম। যদি তদ্রুপ কোন তঞ্চকতা প্রকাশ পায় তাহা হইলে আমরা অত্র দলিল দাতাগণ আপনাদের দেয়া বায়নার টাকার সমূদয় ক্ষতি পূরণ সহ ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকিব এবং কৃত অপরাধের জন্য আইনতঃ দন্ডনীয় হইব।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য শরীরে অত্র বায়না নামা দলিল লিখাইয়া নিজে পাঠ করিয়া ও অনের দ্বারা পাঠ করিয়া উহার মর্ম ও ফলাফল অবগত হইয়া নিম্ন লিখিত স্ব্ক্ষাীগনের মোকাবেলায় বায়না বাবদ টাকা গ্রহন করিয়া সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম। ইতি তারিখঃ-
বায়নাকৃত সম্পত্তির তফসিল পরিচয়
জিলা-ঢাকা, থানা-সাবেক মিরপুর হালে পল্লবী ও সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস মিরপুর অধীন, ঢাকা কালেক্টরীর তৌজিভুক্ত, জে, এল নম্বরঃ- সি, এস-২১৯ নং, এস,এ-৪৪ নং, আর,এস-১৮ নং, মৌজা-“দুয়ারীপাড়া” স্থিত।
খতিয়ান নম্বরঃ-সি, এস ১৩ নং ও ২ নং, এস, এ-২ নং, আর, এস-১ নং খতিয়ানভুক্ত। খারিজা ৩২২ নং জোতভুক্ত।
দাগ নম্বরঃ-সি, এস ও এস, এ-৬০ (ষাট) ও ৭৫ (পঁচাত্তর) নং, আর, এস ৯০ (নব্বই) নং, ৯১ (একানব্বই) নং ও ১২০ (একশত বিশ) নং দাগের কাতে ০৮২৫ অযুতাংশ বা /৫ (পাঁচ) কাঠা ভূমির উপর নির্মিত ৭ (সাত) তলা বিশিষ্ট ইমারতের ৭ম তলার দক্ষিন পার্শ্বের ১৪৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট এবং মোট ভূমির কাতে অবিভক্ত ও অচিহ্নিত ০০৫৮.৯২ (আটান্ন দশমিক নয় দুই) অযুতাংশ ভূমি ও যাবতীয় হকহকুক যেমন-কমন করিডোর, কমন লিফট/সিঁড়ি, পয়ঃনিস্কাশন প্রণালী, সাধারন চলাচলের রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, লাইন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ট্যাংক, ছাদের উপরিস্থিত পানির ট্যাংক, ছাদের ব্যবহার গেইট ইত্যাদি সুবিধাদি এজমালিতে ভোগের অধিকার প্রদান সমেত অত্র দলিল দ্বারা বায়নাকৃত সম্পত্তি বটে। যাহা ইষ্টার্ণ হাউজিং কোম্পানী লিঃ এর লে-আউট প্ল্যান মোতাবেক প্লট নং-এইচ/৫, ব্লক-এইচ বটে। যাহা ঢাকা সিটি জরীপ দাগ নং-২২৬৬। যাহার চৌহুদ্দিঃ-উত্তরে-কোম্পানীর লে-আউট রাস্তা, দক্ষিনে-কোম্পানীর লে-আউট প্লট নং-এইচ/১৭, ব্লক-এইচ, পূর্বে-কোম্পানীর লে-আউট প্লট নং-এইচ/৪, ব্লক-এইচ, এবং রাস্তা, পশ্চিমে-কোম্পানীর লে-আউট প্লট নং-এইচ/৬, ব্লক-এইচ।
অত্র বায়না নামা দলিল (৩) ফর্দে কম্পোজকৃত এবং ( ) জন স্বাক্ষী রহিয়াছে। মুসাবিধাকারক
কম্পোজকারক
(সোহেল হোসেন)
তেজগাঁও শি/এ, ঢাকা।
স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষরঃ-
১।
২।
৩।
হলফনামা
মাননীয়
সাব-রেজিষ্ট্রার সাহেব সমীপে
এস, আর, অফিস গুলশান, ঢাকা।
তাসলিমা আক্তার, বয়স/জন্ম তারিখ-০৬/০৬/১৯৬৬ ইং, স্বামী-মোঃ কামরুজ্জামান ভুইয়া, পিতা-আবদুল খালেক, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাকিন-১৭০/বি, তেজকুনিপাড়া, থানা-তেজগাঁও, জেলা-ঢাকা, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম, পেশা-গৃহিনী। রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ১৪২ নং আদেশ মোতাবেক অত্র শপথ/হলফ নামা দ্বারা প্রতিজ্ঞা পুর্বক এই মর্মে ঘোষনা করিতেছি যে,
১। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা।
২। সংযুক্ত দলিলে যে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করা হইয়াছে তাহা বাংলাদেশ দালাল আইন ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৮ নং আদেশ বলে আটক করা হয় নাই।
৩। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ পরিত্যাক্ত সম্পত্তি আইন ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির ১৬ নং আদেশের সংগানুযায়ী পরিত্যাক্ত সম্পত্তি নহে।
৪। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ প্রচলিত যে কোন আইন অনুসারে তাহা বাতিল যোগ্য নয় এবং প্রচলিত কোন আইনের কোন বিধানের পরিপন্থী নয়।
৫। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ প্রচলিত যে কোন আইনের পরিপন্থী নহে।
৬। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ ভূমি সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ আইন ১৯৭২ সনের রাষ্ট্র প্রধানের ৯৮ নং আদেশ এর ৫ “ক” ধারা অনুসারে তাহা বাতিল যোগ্য নহে এবং প্রচলিত কোন আইনের কোন বিধানের পরিপন্থী নয়।
৭। ঘোষনা করিতেছি যে, উপরোক্ত বর্ণনা আমার জ্ঞানমতে সম্পূর্ন সত্য এবং অদ্য রোজ সাব-রেজিষ্ট্রার সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অত্র হলফনামা সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম।
হলফকারী আমার পরিচিত। তিনি অত্র অফিসে হাজির আছেন এবং আমার সম্মুখে টিপ/স্বাক্ষর প্রদান করিলেন। অত্র হলফনামার ঘোষনা করিয়া যাহা বলিলাম তাহার জ্ঞানমতে সত্য এবং অদ্য সাব-রেজিষ্ট্রার সাহেবের সম্মুখে দস্তখত করিলাম। ইতি তাারিখঃ-
সনাক্তকারীর স্বাক্ষর হলফকারীর স্বাক্ষর
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।