ফোন +৮৮০১৭১১২৬৭৫৩১
ইমেইল : [email protected]
ছোটোবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি, অমুক ভাই বা তমুক আপু অনেক মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী। কখনও কি ভেবে দেখেছি, একজন ভালো ছাত্র-ছাত্রী আর অন্যদের মধ্যে পার্থক্য কি? কি সেই কারণ, যা সমান পরিমান ব্রেইন থাকার পরেও অন্যদের সাথে সেই মেধাবী মানুষগুলোর পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে? এখানে পার্থক্য শুধুই কিছু কৌশলের, আর কিছুই না।
রয়্যাল হলোওয়ে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের সাইকোলজি বিভাগের একদল ছাত্র-ছাত্রীর উপড় চালানো এক গবেষনায় দেখা গেছে, ভালো সিজিপিএ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা কিছু কৌশল অবলম্বন করেন যা অন্যান্য সকলে জানেন না অথবা জেনেও তাদের পড়ালেখায় তা প্রয়োগ করেন না।
ব্যাংক জব প্রিপারেশনঃ কি পড়বেন এবং রেফারেন্স বই (প্রিলিমিনারি) বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
একাডেমিক পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি, সব ক্ষেত্রেই পড়া মনে রাখার বিকল্প নেই। কিছু কার্যকরী ও বিজ্ঞানসন্মত কৌশল এই কষ্টসাধ্য কাজটিকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে। চলুন, জেনে নেই তেমন ১১কি বহুল ব্যবহৃত ও কার্যকরী কৌশল। যেহেতু পড়া মনে রাখা আমাদের মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত, সেহেতু প্রথমে জেনে নেয়া যাক মস্তিষ্ক সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য, খুব সংক্ষেপে।
মস্তিষ্ক বা ব্রেইনকে একটি হার্ডডিস্কের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যেখানে জমা থাকে আমাদের দৈনন্দিন তথ্য।
তাহলে, জমা থাকলে আমরা কেনো সে তথ্য গুলো ভুলে যাই? আসলে মজার ব্যাপার টা এখানে।
আমাদের মস্তিষ্ক অনেক স্মার্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে, মস্তিষ্ক সকল তথ্যকে শর্ট-টার্ম মেমোরি বা ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি হিসাবে গ্রহন করে। এরপর যাচাই বাছাই করে সেখান থেকে কিছু তথ্য লং-টার্ম মেমোরি বা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসাবে রেখে দেয়। বাকিটা মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় তথ্য হিসাবে চিহ্নিত করে, যা পরবর্তীতে আমরা খুব কমসময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে ভুলে যাই।
এ কারণেই আমরা আজ যা কিছু পড়েছি আগামীকাল তার প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ ভুলে যাই। এখন কথা হচ্ছে, মস্তিষ্ক কি করে বোঝে যে কোন তথ্যটি প্রয়োজনীয় আর কোনটি অপ্রয়োজনীয়?
যে তথ্য গুলো আমরা জানার পরেও বারবার চর্চা করি সেগুলো মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় হিসাবে বাছাই করে এবং দীর্ঘ স্থায়ী স্মৃতি হিসাবে জমা করে রাখে। ফলে অনেকদিন পার হয়ে যাবার পরেও, তথ্যগুলো আমাদের মনে থাকে। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছি পড়া মনে রাখতে হলে তা আমাদেরকে দীর্ঘ স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করতে হবে।
এখন জেনে নেয়া যাক, পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখার ১১কি কার্যকরী, বিজ্ঞানসন্মত ও বহুল ব্যবহৃত কৌশল যা তথ্য দীর্ঘ স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করতে সহায়ক।
একটি গবেষনায় দেখা গেছে, ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। আর রক্ত চলাচল বৃদ্ধির ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং ধারণক্ষমতা দুটোই বৃদ্ধি পায়। তাই পড়াশুনা করতে বসার পূর্বে কিছুটা ব্যায়াম করা খুবই উত্তম।
তবে সেই ব্যায়াম অবশ্যই ভারী নয়, তাতে ক্লান্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। কিছুটা হাঁটাচলা করা অথবা যোগ ব্যায়াম এক্ষেত্রে খুবই ফল্প্রসু। এতে পড়াশুনার প্রতি যেমন মনযোগ বাড়বে এবং তা মনেও থাকবে দীর্ঘ সময়।
যে বিষয়টি পড়ছেন, সে বিষয়ে যতক্ষন না আপনি আকর্ষণ অনুভব করবেন ততক্ষন তা দীর্ঘসময় মনে রাখা সম্ভব হবে না। আকর্ষণ অনুভব করতে যে ব্যাপারটি আবশ্যক তা হলো বিষয়টি স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারা। আকর্ষণ সৃষ্টি হলে পড়ার আগ্রহও অনেকগুন বেড়ে যাবে।
নাহলে বিষয়টি আপনাকে সারিবদ্ধ কিছু শব্দ হিসাবে মনে রাখতে হবে যা হবে একইসাথে কষ্টকর ও বিরক্তির। তাই একটি বিষয়কে সারিবদ্ধ শব্দ হিসাবে মুখস্থ করার চেষ্টা না করে, বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করা উচিৎ। তাতে বিষয়টির উপড়ে যেমন আকর্ষণ বাড়বে তেমনি তা দীর্ঘদিন মনেও থাকবে।
আপনাকে যখন অনেক বড় একটি বিষয় পড়ে মনে রাখতে হবে তখন এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। যা পড়ছেন তার একটি প্যারাগ্রাফ পড়া হয়ে গেলে সাথে সাথে নিজের ভাষায় তার সারাংশ লিখে ফেলুন। তারপর পরের প্যারাটি পড়ুন, আবার সারাংশ লিখে ফেলুন। পুরো বিষয়টি পড়া হয়ে গেলে, সারাংশটি ১/২ বার পড়ে ফেলুন।
এবার আবার পুরো বিষয়টি পড়ুন। এতে বিষয়টি আপনার কাছে খুবই স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। আশা করা যায় এভাবে যে কোনো বিষয় খুব তাড়াতাড়ি আপনার আত্মস্থ হয়ে যাবে।
২০১৬ সালে ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও এর কিছু স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের উপড় এক গবেষনায় দেখা গেছে, যারা পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিভিন্ন রঙের মার্কার দয়ে দাগিয়ে পড়েন তাদের পড়া মনে রাখার হার অন্যদের থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি।
গবেষনায় দেখানো হয়েছে, যারা পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দাগিয়ে পড়েন তাদের অধিক মনোযোগ সহকারে পড়তে হয়। সাথে, দাগিয়ে পড়ার ফলে তাদের পরবর্তীতে রিভাইজ দিতে খুব কম সময় ব্যয় হয়।
এখানে নিজের জীবনের একটি বিষয় তুলে ধরি। অনেকদিন আগে, ইতিহাস খ্যাত সেনানায়ক সান জু-এর লেখা দ্যা আর্ট অফ ওয়ার পড়েছিলাম। কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ছাড়া ব্যর্থতা কতোটা সহজলভ্য তা বইটি যারা পড়েছে তারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। বইটির কিছু বার্তা দিয়ে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বেশকিছু ব্যর্থতা ও সফলতা বিশ্লেষণ করতে পেরেছিলাম। ফলে, ঐ বইয়ের লেখাগুলো আজও আমার হুবহু মনে আছে।
পদার্থ বিজ্ঞানের ভরবেগ থেকে শুরু করে মহাকবি কায়কোবাদের আযান কবিতা, সবকিছুই হয় নিজের জীবনের কোনো বাস্তব ঘটনা অথবা কারও জীবনে ঘটতে দেখা ঘটনাগুলোর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এতে সেই পড়া দীর্ঘদিন পরেও স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে।
থার্টি ডে’স হ্যাজ সেপ্টেম্বর
এপ্রিল জুন এন্ড নভেম্বর
ছোটোবেলায় পড়া এই কবিতাটি নিশ্চয়ই আমাদের সবার মনে আছে। আজও এই কবিতাটি কোন মাস কতোদিনে তা খুব সহজেই মনে করতে সাহায্য করে। চমৎকার ছন্দের কারণে এই কবিতাটি মনে রাখাও খুব সহজ।
একটু সময় ব্যয় করে, যেসকল তথ্য মনে রাখা কষ্টসাধ্য তা দিয়ে ছন্দ তৈরি করে নিতে পারলেই হয়ে গেলো। সারাজীবন সেই তথ্য মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসাবে জমা থাকবে।
তবে এ ব্যাপারে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ খুব বেশি পরিমান ছন্দ তৈরি করা যেমন সময় সাপেক্ষ তেমনি একটি অন্যটির সাথে মিলে গিয়ে ভুল হবার বিপদও থাকে। তাই যেসকল তথ্য মনে রাখা খুব কষ্টসাধ্য শুধু সেসকল ক্ষেত্রেই এই কৌশলটি কাজে লাগানো উচিৎ।
লেখার শুরুতেই বলেছি, কোনো তথ্য আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি করে রাখতে চান তার জন্যে বারবার পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এটা জানাটা জরুরি যে রিভিশনের প্রসেসটা কেমন হওয়া উচিৎ?
ধরুন, আজ কোনো একটা বিষয় সারাংশ লিখে পড়লেন। সেটা মুখস্থ হয়ে গেলে অন্য বিষয়ে গেলেন। এভাবেই যদি মুখস্থ করা বিষয়টি ফেলে রাখা হয় এক সপ্তাহ পরে তা আর মনে থাকবে না। তাহলে আপনার কি করনীয়?
নিচের চার্টটি ফলো করলে আশা করি চমৎকার একটি ফলাফল পাওয়া যাবেঃ
এই কৌশলটি খুব কার্যকরী তবে একই সাথে এটা নিজের জীবনে প্রয়োগ করা কিন্তু বেশ কঠিন কাজ। যা আপনি আজ শিখলেন নিজের সহপাঠীদের তা শেখান। এভাবে করতে পারলে বিষয়টি আপনি খুব তাড়াতাড়ি ভুলছেন না এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।
এই কৌশলটি কিছুটা অভিনব। আপনার সেল ফোনের রেকর্ডারটি চালু করে পড়তে বসুন। মন দিয়ে মুখস্থ করার বিষয়টি পড়ুন, সাথে রেকর্ড করুন। পরে যখন পড়ার মাঝে বিরতিতে যাবেন তখন, ঐ রেকর্ড শুনন।
একটা তথ্য যখন বারবার ব্রেইনে প্রবেশ করানো হয় তখন তা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিনত হয়। যার ফলে তা মনে থাকে অনেকদিন।
বিভিন্ন সময় অনেক গবেষনা থেকে দেখা গেছে, আমাদের মস্তিষ্ক কোনো কাজ ২৫ মিনিটের বেশি একনাগারে সমান মনোযোগের সাথে করতে পারে না। তবে এই সময় মানুষ ভেদে কম-বেশি। তবে ২৫ মিনিটকে আদর্শ হিসাবে ধরা হয়। এটাই পোমোডোরো ইফেক্ট।
তারমানে, একটি বিষয় একটানা ২৫ মিনিট পড়ার পরে আপনাকে ৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। তবে সেই বিরতি হতে হবে অবশ্যই মোবাইল অথবা টেলিভিশন মুক্ত। এই ৫ মিনিট আপনি পূর্ববর্তী পড়াগুলো মনে মনে রিভিশন দিতে পারেন।
গুগল প্লে স্টোরে ইংরেজিতে পোমোডোরো লিখে সার্চ করলে অনেক এপ পাওয়া যাবে। সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ডাউনলোড করে নিলে তা পড়ার সময় এবং বিরতি মেইনটেইন করতে খুব সহায়ক হবে। এই এপ ব্যাবহারে বাড়তি সুবিধা হিসাবে কতোটা সময় পড়া হলো তার হিসাব খুব সহজেই রাখতে পারবেন।
পড়তে বসার আগে অথবা পড়ার মাঝে, হোক গরম অথবা ঠান্ডা। এক কাপ গ্রিন টি আপনাকে পড়া মনে রাখতে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সবসময় একধাপ এগিয়ে রাখবে। গ্রিন টিতে থাকা এক্সট্রা ক্যাফেইন আপনার মস্তিষ্কের অলসতা কাটিয়ে পড়াশোনার প্রক্রিয়াকে করে তুলবে আরও গতিশীল।
আমরা সবাই জানি, আর্লি টু বেড এন্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস এ ম্যান হেলদি ওয়েলদি এন্ড ওয়াইজ। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম আপনার পড়া মনে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে অনেকটা।
২০১৯ সালের এক গবেষনায় দেখা গেছে, যারা পর্যাপ্ত ঘুমান তাদের কিছু তথ্য মুখস্থ করতে যতটা সময় লাগে, অন্যদের সেই তুলনায় প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি সময় লাগে, একই তথ্য মুখস্থ করতে। শুধু তাই নয়, গবেষনা রিপোর্ট অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুমানো মানুষগুলো মুখস্থ করা তথ্য অন্যদের থেকে প্রায় ৪ গুন বেশি সময়কাল মনে রাখতে পারে।
ব্যাংক জব প্রিপারেশনঃ কি পড়বেন এবং রেফারেন্স বই (প্রিলিমিনারি) বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
তারমানে বুঝতেই পারছেন, পড়া মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে হলে আপনাকে আজ থেকে তাড়াতাড়ি বিছানায় যেতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
পড়াশোনা মনে রাখা মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত। পড়াশোনার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, শারীরিক সুস্থতা, দৈনিক খাদ্যাভ্যাসের এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু খাবার রয়েছে যা মস্তিষ্কের জন্যে খুবই উপকারী। তার মধ্যে রয়েছে বাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি। এছাড়াও পড়তে বসার পরিবেশ, জায়গাও বেশ গুরুত্বপূর্। পড়ার জায়গাটা হওয়া উচিৎ, যেখানে মানুষের চলাচল করে সেখান থেকে দূরে এতে পড়া থেকে মনোযোগ নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম থাকে। সর্বপরি, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং মনোযোগ আপনাকে সকলের থেকে সবসময় সবার থেকে একধাপ এগিয়ে রাখবে নিঃসন্দেহে। তাহলে চলতে থাকুক কৌশলী পড়াশোনা। হ্যাপি রিডিং….
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।