ফোন +৮৮০১৭১১২৬৭৫৩১
ইমেইল : [email protected]
কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।
কি মধুর আযানের ধ্বনি!
— কায়কোবাদ (কবিতাঃ আযান)
বাংলা সাহিত্যের সর্ববৃহৎ মহাকাব্য “মহাশ্মশান” খ্যাত মহাকবি কায়কোবাদ, প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরেশী। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা গ্রামে ১৮৫৭ সালে। তার পিতা শাহামত উল্লাহ আল কোরেশী ছিলেন ঢাকা জজ কোর্টের উকিল। মহাকবি কায়কোবাদ মূলত ছিলেন কবি। ১৮৬০ সালে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে আমাদের মহাকবি রচনা করেছিলেন তার প্রথম মহাকাব্য “বিরহ বিলাপ”।
মহাকবি কায়কোবাদ বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যা আজও সমানতালে আলো বিলিয়ে চলেছে আপন গরীমায়। শিক্ষাজীবনে তিনি অধ্যয়ন করেন সেন্টগ্রেগরী স্কুলে। পরবর্তীতে, তার পিতার মৃত্যুর পরে, ঢাকা মাদ্রাসায় প্রবেশিকা শ্রেনিতে ভর্তি হলেও পরীক্ষা না দিয়েই পোষ্টমাস্টারের চাকুরি শুরু করেন।
জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।
বাঙালি মুসলিম কবিদের ভিতর প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা।
বাঙালি মুসলিম কবিদের ভিতর প্রথম সনেট রচয়িতা।
মহাকবি কায়কোবাদের মহাকাব্যে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীনচন্দ্র সেনের রচনা ধারার প্রভাব সুস্পষ্ট। ১৯৩২ সালে “বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সন্মেলন” অনুষ্ঠানে মহাকবি অলংকৃত করেন সভাপতির আসন।
মহাকবির রচনার কথা বলতে গেলেই প্রথম যে নামটি মনে আসে তা হলো “মহাশ্মশান”। এটি বাংলা সাহিত্যের সর্ববৃহৎ মহাকাব্য। দীর্ঘ ১০(দশ) বছর সময় লেগেছিলো এই মহাকাব্য রচনায়।
ষাট সর্গে রচিত ৮৭০ পৃষ্ঠা ব্যাপী মহাকাব্য এই মহাশ্মশান। এটি প্রথম ধারাবাহিকভাবে মোহাম্মদ রওশন আলী সম্পাদিত ” কোহিনূর ” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের এই সর্ববৃহৎ মহাকাব্যের কাহিনী সূত্র পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপট।
১৭৬১ সালে আহমেদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের মধ্যে সংঘটিত হয় পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ। মুসলিম পক্ষের নেতৃত্বে কাবুল অধিপতি আহমেদ শাহ আবদালী এবং মেহেদী বেগের কন্যা জোহরা বেগম। মারাঠাদের সেনাপতি জোহরা বেগমের পতি ইব্রাহিম কার্দি।
স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে গোপনে অনেকবার মারাঠা শিবিরে যান জোহরা বেগম। সেনাপতি ইব্রাহিম কার্দি স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসলেও আদর্শগত কারণে মারাঠাপক্ষ ত্যাগ করতে পারেন না। কারণ যখন তার চাকরি ছিলো না তখন এই মারাঠাপক্ষ তাকে চাকরি দিয়েছিলো, দিয়েছিলো সেনাপতির মতো সন্মানীয় পদ। একসময় যুদ্ধ সমাপ্ত হয়, মুসলিম পক্ষ জয় লাভ করে মারাঠারা হয় পরাজিত ও বন্দী।
বন্দী স্বামীর মুক্তির দাবি জানান জোহরা বেগম, মুক্তির ফরমান নিয়ে যখন তিনি কারাগারে পৌঁছেছেন তখন অনেক দেরী হয়ে হয়ে গেছে। ইব্রাহিম কার্দি ক্ষুদ্র মুক্তিকে অস্বীকার করে বৃহৎ মুক্তিকে গ্রহণ করেছেন।
মুনীর চৌধুরী তার রচিত “রক্তাক্ত প্রান্তর” নাটকের কাহিনী এই মহাকাব্য থেকেই নিয়েছেন।
এছাড়াও মহাকবি কায়কোবাদ রচনা করে গেছেন অনেক কাব্যগ্রন্থ যা বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
বিরহ বিলাপ (১৮৭০)। প্রথম কাব্য, মাত্র ১৩ বছর বয়সে রচিত।
কুসুম কানন (১৮৭৩)।
অশ্রুমালা (১৮৯৬)। গীতিকাব্য
শিবমন্দির (১৯২১)।
অমিয়ধারা (১৯২৩)।
শ্মশানভষ্ম (১৯২৪)।
মহররম শরীফ (১৯৩৩)। মহাকাব্যের মতো বিশাল আয়তনে রচিত কিন্তু মহাকাব্য নয়।
প্রেমের ধারা (১৯৭০)
প্রেমের বানী (১৯৭০)
প্রেম পারিজাত (১৯৭০)
মন্দাকিনী-ধারা (১৯৭১)
গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯)
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে বাংলা একাডেমি ৪(চার) খন্ডে প্রকাশ করে “কায়কোবাদ রচনাবলি”।
বাংলা সাহিত্যের এই গুনী নক্ষত্র তার অনবদ্য সৃষ্টির জন্যে ১৯৩২ সালে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ কতৃক কাব্যভূষণ, বিদ্যা ভূষণ ও সাহিত্যরত্ন উপাধি লাভ করেন।
১৯৫১ সালের ২১ জুলাই এই মহান কবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
জন্ম | ১৮৫৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা গ্রামে |
সম্পূর্ণ নাম | কাজেম আল কোরেশী (কায়কোবাদ) |
মহাকাব্য | মহাশ্মশান (১৭৬১ সালের পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ এই মহাকাব্যের উপজীব্য)কোহিনুর পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিতপ্রকাশকালঃ১৯০৪বাংলা ভাষায় সর্ববৃহত মহাকাব্য।মূল চরিত্রঃ কাবুল অধিপতি আহমেদ শাহ আবদালী,মেহেদী বেগের কন্যা জোহরা বেগম এবং ইব্রাহিম কার্দি |
কাব্যগ্রন্থ | বিরহ বিলাপ (১৮৭০)। প্রথম কাব্য, মাত্র ১৩ বছর বয়সে রচিত।কুসুম কানন (১৮৭৩)।অশ্রুমালা (১৮৯৬)। গীতিকাব্যশিবমন্দির (১৯২১)।অমিয়ধারা (১৯২৩)।শ্মশানভষ্ম (১৯২৪)।মহররম শরীফ (১৯৩৩)। মহাকাব্যের মতো বিশাল আয়তনে রচিত কিন্তু মহাকাব্য নয়। |
মৃত্যুর পর প্রকাশিত | প্রেমের ধারা (১৯৭০)প্রেমের বানী (১৯৭০)প্রেম পারিজাত (১৯৭০)মন্দাকিনী-ধারা (১৯৭১)গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯) |
উপাধি | ১৯৩২ সালে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ কতৃক কাব্যভূষণ, বিদ্যা ভূষণ ও সাহিত্যরত্ন |
মৃত্যু | ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই এই মহান কবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। |
১। ‘অশ্রুমালা’ কাব্যের রচয়িতা কে? [২৫ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ কায়কোবাদ।
২। কায়কোবাদের আসল নাম কী? তাঁর বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম কী? [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ আসল নাম কাজেম আল কোরায়শী। তাঁর বিখ্যাত মহাকাব্য হল ‘মহাশ্মশান’।
৩। কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্যের নাম কি?
উত্তরঃ মহাশ্মশান ।
৪। ‘আযান’ কবিতাটি কার রচনা?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
৫। ‘মহাশ্মশান’ মহাকাব্যের কবি কে?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
৬। নিচের কোনটি কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য?
উত্তরঃ মহাশ্মশান
৭। অশ্রুমালা’র কবি কে?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
৮। কায়কোবাদের মূল নাম কি?
উত্তরঃ কাজেম আল কোরেশী
৯। ‘কায়কোবাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
উত্তরঃ বিরহ বিলাপ
১০। নিচের কোনটি মুসলমান রচিত মহাকাব্য?
উত্তরঃ মহাশ্মশান
১১। কোনটি মহাকাব্য?
উত্তরঃ মহাশ্মশান
১২। কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ‘মহাশ্মশান’ কাব্য রচিত?
উত্তরঃ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
১৩। মহাশ্মশান কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কবি কায়কোবাদের আসল নাম কি?
উত্তরঃ মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী
১৪। কোনটি ‘মহাকাব্য’?
উত্তরঃ প্যারাডাইস লস্ট
১৫। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম মহাকবি কে?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
১৬। কায়কোবাদের কোন গ্রন্থটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত?
উত্তরঃ মহাশ্মশান
১৭। ‘মহাশ্মশান’ মহাকাব্য কোন সালের পানিপথের যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে রচিত?
উত্তরঃ ১৭৬১
১৮। কবি কায়কোবাদ রচিত ‘অশ্রুমালা’ কোন জাতীয় রচনা?
উত্তরঃ গীতিকাব্য
১৯। ‘অশ্রুমালা’ ও ‘মহাশ্মশান’ কার রচনা?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
২০। ‘আযান’ কবিতাটি কার রচিত?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
২১। কায়কোবাদের রচনা নয় কোনটি?
উত্তরঃচিন্তাতরঙ্গিনী
২২। ‘শিবমন্দির’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তরঃ কায়কোবাদ
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।
গেটনোট একটি প্লাটফরম যা চাকরির পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে থাকতে আপনার সহায়ক হবে। আপনার প্রস্তুতিকে করে তুলবে আরও শাণিত। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আমরা বাজারে নতুন মলাটে কিছু পুরানো বই দেখতে পাই....
© ২০১৯-২০২০ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত NxtOrb দ্বারা।